ওপেনএআই ডেভডেতে প্রথমবার বাংলাদেশি স্টার্টআপের অংশগ্রহণ

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম বৃহৎ আয়োজন ‘ওপেনএআই ডেভডে ২০২৫’ আর এ আয়োজনেই প্রথমবারের মতো অংশ নিল একটি বাংলাদেশি স্টার্টআপ ওয়ানব্রেন এআই।

গত সোমবার (৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত হয় এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এবং প্রতিষ্ঠানের ডেভেলপার দল। সম্মেলনে ওয়ানব্রেন এআইয়ের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পান।

 বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ানব্রেন এআই জানিয়েছে, এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে কোনো স্টার্টআপ ওপেনএআই ডেভডেতে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেছে। এটি দেশের প্রযুক্তিখাতের জন্য নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

 উদ্ভাবনের প্রদর্শনী: জিপিটি-৫ প্রো, সোরা-২ ও নতুন ইমেজ জেনারেশন
এবারের ডেভডেতে ওপেনএআই উন্মোচন করেছে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা মডেল জিপিটি-৫প্রো যুগান্তকারী ভিডিও জেনারেশন মডেল সোরা-২ এবং সর্বাধুনিক ইমেজ জেনারেশন প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, গবেষক, ডেভেলপার এবং পেশাজীবীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

ওয়ানব্রেন এআইয়ের প্রতিক্রিয়া
ওয়ানব্রেন এআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা অমিত দাস বলেন, “ওপেনএআই ডেভডে ২০২৫-এ অংশগ্রহণ এবং স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমাদের জন্য ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে উন্নত সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”

 ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ
এই অংশগ্রহণ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নয় এটি বাংলাদেশের উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর জন্য একটি বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার প্রমাণ। ওপেনএআইয়ের মতো বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ভবিষ্যতে দেশীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে।
 
ওয়ানব্রেন এআইয়ের এই অর্জন দেখিয়ে দিয়েছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও উদ্ভাবনী চিন্তা থাকলে বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও বিশ্ব প্রযুক্তি অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশীয় স্টার্টআপকে উদ্বুদ্ধ করবে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

image

আপনার মতামত দিন