ট্রাম্পের দক্ষতা বিভাগ ছাড়লেন মাস্ক: কী ঘটছে পর্দার আড়ালে?
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
টেকভয়েস২৪ ডেস্ক
ছবি:
সংগৃহীত
বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং প্রযুক্তি জগতের অগ্রদূত ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, বুধবার রাত থেকেই মাস্কের প্রস্থানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের ‘দক্ষতা বিভাগে’ ইলন মাস্কের যুক্ত হওয়া
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনে ইলন মাস্ককে যুক্ত করেন। মাস্ককে দেওয়া হয় ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ বা Department of Government Efficiency (DoGE)-এর দায়িত্ব। এটি একটি অপ্রচলিত ও আংশিকভাবে আলাদা প্রশাসনিক ইউনিট-যার উদ্দেশ্য ছিল ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাস ও কর্মিবহর ছাঁটাই।
মাস্কের এই নিয়োগ শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। বিশেষ করে যখন স্পষ্ট হয়, এই বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে-যা ফেডারেল সরকারের মোট কর্মিবহরের ১২ শতাংশ।
সামাজিক মাধ্যমে বিদায়ী বার্তা
ইলন মাস্ক মঙ্গলবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “সরকারি দক্ষতা বিভাগের অংশ হিসেবে আমার দায়িত্ব এখানেই শেষ হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা আমার দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত করেছে।”
মাস্ক বনাম বাজেট বিল
প্রস্থান ঘোষণার আগেই কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত একটি বাজেট ও কর বিল নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাস্ক। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই বিশাল ব্যয়ের বিল দেখে আমি হতাশ। এটা বাজেট ঘাটতি কমাবে না, বরং আরও বাড়াবে। সেই সঙ্গে ডিওজিই-এর কাজকেও খাটো করা হচ্ছে।” এই মন্তব্যের পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় মাস্ক প্রশাসন ছাড়তে পারেন।
বিনিয়োগকারীদের চাপ
টেসলা ও স্পেসএক্সে ইলন মাস্কের অতিরিক্ত সময় দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। মাস্কের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এই উদ্বেগ আরও বাড়ায়। অনেক বিনিয়োগকারী চাইছিলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব ছেড়ে মূল কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হন।
ডিওজিই’র ভবিষ্যৎ
যদিও ইলন মাস্ক সরে যাচ্ছেন, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-ডিওজিই-এর কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে। মাস্ক নিজেও বলেন, “ডিওজিই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি জীবন্ত কাঠামো হয়ে উঠবে-সরকারি ব্যয়ের যুক্তিযুক্ততা নিশ্চিত করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ইলন মাস্কের এই পদত্যাগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী অধ্যায় হিসেবে দেখা যেতে পারে-যেখানে এক শীর্ষ উদ্যোক্তা সরকারের কাঠামো সংস্কারে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তার এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ও রাজনীতির সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। সূত্র: রয়টার্স, সিবিএস নিউজ
প্রশাসনের ‘দক্ষতা বিভাগে’ ইলন মাস্কের যুক্ত হওয়া
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনে ইলন মাস্ককে যুক্ত করেন। মাস্ককে দেওয়া হয় ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ বা Department of Government Efficiency (DoGE)-এর দায়িত্ব। এটি একটি অপ্রচলিত ও আংশিকভাবে আলাদা প্রশাসনিক ইউনিট-যার উদ্দেশ্য ছিল ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাস ও কর্মিবহর ছাঁটাই।
মাস্কের এই নিয়োগ শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। বিশেষ করে যখন স্পষ্ট হয়, এই বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে-যা ফেডারেল সরকারের মোট কর্মিবহরের ১২ শতাংশ।
সামাজিক মাধ্যমে বিদায়ী বার্তা
ইলন মাস্ক মঙ্গলবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “সরকারি দক্ষতা বিভাগের অংশ হিসেবে আমার দায়িত্ব এখানেই শেষ হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা আমার দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত করেছে।”
মাস্ক বনাম বাজেট বিল
প্রস্থান ঘোষণার আগেই কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত একটি বাজেট ও কর বিল নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাস্ক। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই বিশাল ব্যয়ের বিল দেখে আমি হতাশ। এটা বাজেট ঘাটতি কমাবে না, বরং আরও বাড়াবে। সেই সঙ্গে ডিওজিই-এর কাজকেও খাটো করা হচ্ছে।” এই মন্তব্যের পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় মাস্ক প্রশাসন ছাড়তে পারেন।
বিনিয়োগকারীদের চাপ
টেসলা ও স্পেসএক্সে ইলন মাস্কের অতিরিক্ত সময় দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। মাস্কের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এই উদ্বেগ আরও বাড়ায়। অনেক বিনিয়োগকারী চাইছিলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব ছেড়ে মূল কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হন।
ডিওজিই’র ভবিষ্যৎ
যদিও ইলন মাস্ক সরে যাচ্ছেন, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-ডিওজিই-এর কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে। মাস্ক নিজেও বলেন, “ডিওজিই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি জীবন্ত কাঠামো হয়ে উঠবে-সরকারি ব্যয়ের যুক্তিযুক্ততা নিশ্চিত করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ইলন মাস্কের এই পদত্যাগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী অধ্যায় হিসেবে দেখা যেতে পারে-যেখানে এক শীর্ষ উদ্যোক্তা সরকারের কাঠামো সংস্কারে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তার এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ও রাজনীতির সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। সূত্র: রয়টার্স, সিবিএস নিউজ
