মানসম্মত ও দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরির প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল পলিটেকনিক

প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪
Image
news-banner
  ছবি:
বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলা এবং মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’। গত ১৮ বছর ধরে দক্ষভাবে কারিগরি বোর্ডের অধীনে শিক্ষাদান করে আসা ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে রয়েছে ৯টি বিভাগ।

ডিপার্টমেন্টসসমূহ হলো, কম্পিউটার সায়েন্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইলেকট্রিকাল, সিভিল, আর্কিটেকচার, টেলিকমিউনিকেশন, টেক্সটাইল ও এপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং। মূলধারার বাইরে গিয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য-নতুন শিক্ষা-উপকরণ সংযোজন এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি নিশ্চিত করে।

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা-৩২০০০টাকা সরকারি উপবৃত্তি, ফ্রি ল্যাপটপ, ওয়ার্ক বেসড স্কলারশিপ, ১০০% ইন্টার্নশিপ ও জব প্লেসমেন্ট সহায়তা, নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প খরচে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষার্থী-অভিভাবক লাইফ ইন্সুরেন্স  আর মেয়ে-শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১০০% পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি।

ক্যারিয়ারবান্ধব পরিবেশ ও সুবিধা
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য বরাবরই ক্যারিয়ারবান্ধব পাঠদানের ব্যাপারে যত্নবান। তাই কারিগরি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য ‘প্রজেক্ট ফেস্ট’। এসব প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।

শুধু প্রজেক্ট ফেস্টই নয়, ‘জব ফেয়ারে’র মতো নানা উদ্যোগে মুখরিত থাকে আঙিনা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এই ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় আয়োজন করে থাকে ‘অন স্পট ইন্টারভিউ’ ক্যাম্পেইন। শিক্ষার্থীদের সপ্তম সেমিস্টার শেষে ইন্টার্নশিপের জন্য এবং পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক।

এছাড়া ক্যারিয়ার সচেতনতায় আয়োজন করা হয় ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন সেমিনার’ এবং জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ‘আর্ট অব লিভিং’। এই পলিটেকনিকের অনন্য দিক হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাকালীন নিজস্ব দক্ষতায় নিজ ক্যাম্পাসেই ‘পার্টটাইম’ চাকরির সুবিধা।

ক্যারিয়ারবিষয়ক সামগ্রিক এ বিষয়গুলো দেখাশোনা করে ‘ক্যারিয়ার লঞ্চপেড’ বিভাগ। যারা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অ্যানালাইসিস করে এবং ইন্ডাস্ট্রির সাথে নেটওয়ার্কিং তৈরি করে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য মানানসই চাকরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।

এমন বুদ্ধিভিত্তিক উদ্যোগের ফলে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৭৭ শতাংশ দেশের ৩৬৮টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড, তিতাস গ্যাস উল্লেখযোগ্য। এছাড়া দেশের বাইরে ২৮টি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও পিছিয়ে নেই ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ক্লাব, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন ইনডোর গেমের মাধ্যমে গড়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ‘চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল (সিওয়াইএফআই)’, যুক্তরাজ্যের ‘কনফিডারেশরন অব ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি’, ভারতের ‘ভিনসিস আইটি সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ’ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ওয়াও ফ্যাক্টর’। সচেতন ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্মশালা করে থাকে।

আধুনিক ক্যাম্পাস
করোনার সময় দেশের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকেই প্রথম অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেছিল। এছাড়া আইসিটির প্রতি দেওয়া হয় বিশেষ গুরুত্ব। যার ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) ওপর বিশেষ ক্লাস।

শুধু তা-ই নয়, বর্তমানে নিজস্ব ই-লার্নিং প্লাটফর্ম ‘এলএমএস’-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পাচ্ছে। তাই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতের জন্য পরিপূর্ণভাবে তৈরি হতে এসএসসি উত্তীর্ণদের জন্য একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হতে পারে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

তাই, ভবিষ্যত বিশ্বকে মানসম্মত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করা ক্যাম্পাসটি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।  

উল্লেখ্য, ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে ২০২৪-২৬ সেশনে ৯টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি চলছে।

Leave Your Comments