বাদুড়রা কিন্তু দেখতে পায়

প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪
Image
news-banner
  ছবি:
পৃথিবীতে কমপক্ষে ১৩শ’ প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু বাদুর ফুল-ফল খেয়ে বেঁচে থাকে। কিছু প্রজাতির বাদুড় পোঁকামাকড় খায়; আবার লাতিন আমেরিকার তিনটি প্রজাতি আছে যারা রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে বাদুড়ের দৃষ্টিশক্তির ব্যাপারে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয় ধারনা হলো, বাদুড় চোখে দেখতে পায় না। বা অনেকে মনে করেন, বাদুড় কেবল রাতেই দেখতে পায়। কিন্তু এ কথা মানতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা।

রাতে চলাফেরায় বাদুড়কে সহায়তা করে ইকো-লোকেশন। অর্থাৎ শব্দ এবং শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে চলাফেরা করে তারা। বাদুড় ওড়ার সময় তার চলার পথের দিকে শব্দ তৈরি করে। সেই শব্দ যদি প্রতিধ্বনি আকারে ফিরে আসে তাহলে তারা বুঝতে পারে যে সামনে একটি বাধা রয়েছে। আর শব্দ ফিরে না আসার মানে তার চলার পথে কোনো বাধা নেই। তবে প্রজাতিভেদে ইকো-লোকেশন ব্যবহারের ব্যাপারে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

বেশ কয়েক জাতের ফলখেকো বাদুড়রা ইকো-লোকেশন একেবারে ব্যবহার করেই না বলা চলে। তারা খাবারের সন্ধানে দৃষ্টিশক্তিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। খাদ্যাভাস এবং পারিপার্শ্বিকতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির বাদুরের দৃষ্টিশক্তি একেকভাবে কাজ করে। যেমন, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় বাদুড়ের দুটি প্রজাতির চোখে দিনের বেলা দেখার এবং কয়েকটি রং শনাক্ত করার জন্যে প্রয়োজনীয় রিসেপটর আছে। এই রিসেপটরগুলির কারণে তারা আল্ট্রাভায়োলেট আলো এবং মানুষের দৃষ্টিক্ষমতার বাইরে থাকা বেশ কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোও দেখতে পায়।

বিজ্ঞানীদের মতে, বাদুড় চলাফেরায় দৃষ্টিশক্তি এবং ইকো-লোকেশন দুটি ক্ষমতাই ব্যবহার করে। পোকামাকড় খেয়ে যেসব বাদুড় বেঁচে থাকে তারাও দৃষ্টিশক্তির উপর বেশ নির্ভরশীল। সুতরাং বাদুড় চোখে দেখতে পায় না, এমন ধারণা তাই বৈজ্ঞানিকভাবে মিথ্যা বলে প্রমাণিত।

Leave Your Comments