আসুস ল্যাপটপের দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট শেয়ার ৩০ শতাংশ

প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Image নিজস্ব প্রতিবেদক
news-banner
  ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান-ভিত্তিক ল্যাপটপ ব্র্যান্ড আসুসের দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট শেয়ার ৩০ শতাংশ। উদ্ভাবনী , উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং গুণগতমানসম্পন্ন সার্ভিস দিয়ে ক্রেতাদের ‍মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে আসুস।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফায়েড কোপাইলট চ্যাটবটযুক্ত ল্যাপটপটি বাজারে আনার ঘোষণা দেয় গ্লোবাল ব্রান্ড লিমিটেড। অনুষ্ঠানে আসুস ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিক গুণাগুণ বর্ণনা এবং পণ্যবাজারে আসুসের অবস্থান বর্ণনায় এই  কথাগুলো বলেন আসুস বাংলাদেশ এবং   গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, আসুস বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে সফলতার সাথে এই ব্যান্ড পণ্য নিয়ে কাজ করছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। প্রযুক্তি সবসময় পরিবর্তনশীল। তার সাথে আসুস একধাপ এগিয়ে। কেননা আসুস সর্বদা নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সম্পৃক্তায় পণ্যকে করে তোলে আধুনিক এবং আস্থাশীল।  চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে এআই প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার ক্রমবর্ধমান। তার সাথে তাল মিলিয়ে আসুস বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন মডেলের ল্যাপটপ ভিভোবুক এস ১৫। যা আপনাকে এক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে নতুন করে। আপনার পেশাগত কাজকে করে দেবে সহজ এবং সুন্দর পেশাদারিত্বের সাথে। আর সময় সাশ্রয় তো করবেই। 

তিনি আরও বলেন, আপনার ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে এর প্রযুক্তি সহায়তা আপনাকে দেবে  প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারের এক নতুন আনন্দ। এই মডেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম প্রসেসর, যার প্রযুক্তির সফল গাঁথা ইন্টেল হতেও পুরোনো। আসলে ক্রেতা সন্তোষ্টি আমাদের কাছে সর্বাগ্রে বিবেচ্য। বিশ্ব বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ড পণ্যের কাছে দক্ষিণ এশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। আসুসের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা আনন্দিত যে  গুরুত্বর্ণ এই বাজারে ৩০ শতাংশ ব্যবহারকারীর আস্থা আসুস পণ্যের উপর। এই অর্জনের পেছনে একদিকে যেমন রয়েছে এই ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক এবং আস্থাশীল প্রযুক্তির ব্যবহার, অপরদিকে রয়েছে এর বাজার কৌশল।

অনুষ্ঠনে বক্তব্য দেন গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আনোয়ার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজারে ১৯৯৭ সাল হতে কাজ করছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। স্থনীয় বাজারে ক্রেতা চাহিদা ছিল আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেইসাথে ক্রেতা সেবা। দীর্ঘ এই সময়ে আমরা ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ ব্র্যান্ড হিসাবে আসুসের প্রতি আমার আস্থা, সেই সাথে স্থানীয় বাজারে আমাদের পার্টনারদের প্রতি আমাদের ভরসা। আর গ্লোবাল ব্র্যান্ডের সকল সদস্যরা  নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ক্রেতাদেরকে সর্বোত্তম সেবা সরবরাহে। দক্ষিণ এশিয়ার বাজার আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বাজারে নিজেদের জন্য শক্ত অবস্থান তৈরিতে আমাদের চেষ্টা ছিল সর্বোচ্চ। বিভিন্ন বাণিজ্যিক কৌশল এবং যুগোপযোগী পরিকল্পনায় আমরা মনোযোগী ছিলাম। তাই এই অর্জনের ভাগীদার আসুসসহ গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের সকল সদস্য, পার্টনার এবং সবোপরি স্থানীয় বাজার বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা।

আসুস বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. আল ফুয়াদ বলেন, ক্রেতা আসুসের ল্যাপটপ কেনার পর  অনলাইনে  রেজিস্ট্রেশন করার পর পরই  একজন ক্রেতা  আসুসের সকল  সেবা গ্রহণে তালিকাভুক্ত হয়ে যান। যার মাধ্যমে তিনি তার পণ্যটি ব্যবহারের সব ধরনের  প্রাযুক্তিক সহায়তা আমাদের কাছ থেকে পাবেন। সেই সাথে তার পণ্যটি রক্ষণাবেক্ষণের পুরো দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তে যায় এবং ক্রেতা নিশ্চত থাকতে পারেন তার পণ্যের নিরাপত্তা  এবং রক্ষণাবেক্ষণে। একবছরের যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের সুযোগসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে এই রেজিস্ট্রেশন গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্রেতা সেবা নিশ্চিত করতে সারা বাংলাদেশে আসুসের রয়েছে ২০টি সেবা কেন্দ্রে। রয়েছে ২৪ ঘন্টা সেবার কলসেন্টার নাম্বার। যেকোনো সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ সময় সীমা ৭ দিন।

এসব সুযোগ-সুবিধার কারণে বাজারে আসুস ব্র্যাডের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের মেইনস্ট্রীম ল্যাপটপের বাজার আয়তন ৬৭% এবং  এই পণ্যগুলোর গড় বাজার দাম ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজারের মত। তবে আমাদের আগ্রহ মিড রেঞ্জের প্রিমিয়াম ল্যাপটপের দিকে। এখানে আমাদের বাজার আয়তন গতবার ছিল ২২% যা বর্তমানে ২৮ % উন্নীত হয়েছে। এই পণ্যটির বাজার দাম ১ লক্ষ টাকার উপরে হলেও এর প্রযুক্তির ব্যবহারিক সুবিধা এর দামের চেয়ে মূল্যবান। এভাবে আসলে পণ্যের গুণগতমান এবং বাজার দর, সেই সাথে ক্রেতা চাহিদাকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের বাণিজ্যিক লক্ষ্য নির্ধারণ করি। যা আমাদের ব্যবসায়িক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে সাহায্য করছে।

অনুষ্ঠানে মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফায়েড কোপাইলট চ্যাটবটযুক্ত ল্যাপটপটির বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপনায় জানানো হয়, আসুস ভিভোবুক এস ১৫ মডেলের ল্যাপটপটি আসুসের প্রথম কোপাইলট প্লাস পিসি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সহজে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি একবার চার্জে টানা ১৮ ঘণ্টা ব্যবহার করা যায় ল্যাপটপটি। ফলে চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। স্ন্যাপড্রাগন এক্স এলিট প্রসেসরে চলা ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ৫১২ গিগাবাইট। ১৫.৬ ইঞ্চি পর্দার ল্যাপটপটির রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ হওয়ায় উন্নত মানের ছবি ও ভিডিও দেখা যায়। 

আসুস ভিভোবুক এস ১৫ মডেলের ল্যাপটপটির কি-বোর্ডে কোপাইলট ব্যবহারের জন্য আলাদা ‘কী’ থাকায় সহজেই চ্যাটবটটি ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করা যায়। শুধু তা-ই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিভিন্ন টুলও ব্যবহার করা যায় ল্যাপটপটিতে। ১৬ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ল্যাপটপটির দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯০ টাকা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আসুসের বিজনেস পার্টনার, ডিস্ট্রিবিউটর পার্টনার রায়ান্স কম্পিউটার্স স্বত্বাধিকারী আহমেদ হাসান জুয়েল এবং স্টারটেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদ আলী ভূঁইয়াসহ অন্যান্য বিজনেস পার্টনাররা।
image

আপনার মতামত দিন