মঠবাড়ী গির্জার প্রতিপালক সাধু আগস্টিনের পর্ব পালন  

প্রকাশ: রবিবার, ৩১ অগাস্ট, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর জেলার মঠবাড়ী গির্জার প্রতিপালক সাধু আগস্টিনের পর্ব মহাসমারোহে পালন করা হয়। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯:৩০ মিনিটে পর্বীয় খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। 

পর্বীয় খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ, সিএসসি। এছাড়াও মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বনিফাস টলেন্টিনু, সিএসসিসহ অন্যান্য স্থান হতে আগত যাজক, ব্রতধারী-ব্রতধারিণী, ধর্মপল্লীর খ্রিষ্টভক্তসহ প্রায় ৫০০০ খ্রিষ্টভক্ত এই ভক্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

খ্রিষ্টযাগের উপদেশে বিশপ থিওটোনিয়াস বলেন, সাধু আগস্টিন জীবনের শুরুতে অনেক খারাপ কাজ করেছেন; কিন্তু তাঁর মা সাধ্বী মণিকার দীর্ঘ বত্রিশ বছরের প্রার্থনার ফলে  সাধু আগস্টিন মন পরিবর্তন করেন। পরে সাধু আগস্টিন অনেক গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন যা মণ্ডলী আজও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।

খ্রিষ্টযাগের শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার সুব্রত বনিফাস গমেজ, সিএসসি সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান পর্বীয় খ্রিষ্টযাগে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য।

উল্লেখ্য, মঠবাড়ী ধর্মপল্লী বরাবরই নাগরী ধর্মপল্লীর অধীনে ছিলো। কিন্তু খুব দ্রুত গতিতে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে মঠবাড়ী এলাকার কাথলিকগণ মাইলাপুরের বিশপ থিয়োটোনিয়াসের কাছে নিজেদের এলাকার জন্য একটি গির্জা নির্মাণের আবেদন রাখেন। বিশপ মহোদয়ও তাদের অসুবিধার কথা বুঝতে পারেন। তাই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাইলাপুর ধর্মপ্রদেশের প্রধান প্রশাসক ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে মঠবাড়ী এলাকাকে নাগরী থেকে আলাদা করে একটি পৃথক ধর্মপল্লীতে রূপান্তরিত করেন। এর আগে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে মঠবাড়ীতে একটি টিন ও বেড়ার গির্জা নির্মিত হয়। নাগরী থেকে প্রতি সপ্তাহে একদিন যাজক সেখানে গিয়ে খ্রিষ্টযাগ অর্পণ করতেন। নাগরী জমিদারী থেকে অর্থ এনে এবং আমপট্রি গির্জার জমি অর্থাৎ ঢাকার ফুলবাড়িয়ার জমি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে মঠবাড়ীতে পাকা গির্জা নির্মাণ করা হয়।
 
এই ধর্মপল্লীতে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে এসএমআরএ সিস্টারদের একটি কনভেন্ট স্থাপিত হয়। বর্তমানে মেয়েদের জন্য একটি হাই স্কুলও আছে। মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু হলেন হিপ্পোর সাধু আগস্টিন। মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় তিন হাজার। মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর অন্তর্গত গ্রামগুলি হলো, কুলুন, তেঁতুইবাড়ী, বাগবাড়ী, মাল্লা, মঠবাড়ী, উলুখোলা, বাঁশবাড়ী এবং উত্তর-দক্ষিণ ভাসানিয়া।  সূত্র: আনন্দ বার্তা

image

আপনার মতামত দিন