প্রযুক্তি শিল্পবাণিজ্যের সফল দেশ চীনের উপর এআই বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আইন চূড়ান্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আইনটি মার্কিন প্রযুক্তি শিল্পবাণিজ্য ও চীনকে উন্নত প্রযুক্তি তৈরি এবং বৈশ্বিক বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সহায়তা করা থেকে রোধ করতে সক্ষম।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা চীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য প্রযুক্তি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ সীমিত করতে আইন চূড়ান্ত করছে, যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে যে আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেগুলো ২০২৩ সালের আগস্টে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করেন। এরপর একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়, যা তিনটি মূল খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে। এগুলো হলো, সেমিকন্ডাক্টর এবং মাইক্রোইলেকট্রনিক্স, কুয়ান্টাম তথ্য প্রযুক্তি এবং নির্দিষ্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম।
ওই আদেশে বলা হয়, ‘নতুন আইনটি আগামী বছরের ২ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রানজ্যাকশনস অফিস মাধ্যমে দেখভাল করা হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এই সংকীর্ণ প্রযুক্তির সেট সামরিক, সাইবার নিরাপত্তা, নজরদারি এবং গোয়েন্দা প্রয়োগের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মৌলিক বিষয় হবে।’
‘এই আইন সাম্প্রতিক কোড ভাঙার কম্পিউটার সিস্টেম বা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যুদ্ধবিমানের মতো প্রযুক্তিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।’ বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা পল রোজেন।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন বিনিয়োগ, যার মধ্যে অদৃশ্য সুবিধাগুলো, যেমন পরিচালনাগত সহায়তা এবং বিনিয়োগ ও প্রতিভা নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত, তা উদ্বেগজনক। এগুলো দেশের সামরিক, গোয়েন্দা এবং সাইবার সক্ষমতা উন্নয়নে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো চলতি বছরের শুরুর দিকে বলেছেন, ‘এই আইন চীনের সামরিক সম্পর্কিত প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
‘নতুন আইনে একটি বিশেষ শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা মার্কিন বিনিয়োগকে জনসাধারণের বাণিজ্যিক নিরাপত্তায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পূর্ববর্তী নির্বাহী আদেশের অধীনে কিছু নির্দিষ্ট চীনা কোম্পানির শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা রয়েছে।’ সূত্র: রয়টার্স।