প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি মানুষ কতভাবেই তাঁর ভালবাসার অনুভূতি প্রকাশ করে থাকেন। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এর ব্যতিক্রম না। তিনি স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের জন্য ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। এবার তিনি গানও গেয়ে শুনালেন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার গানটি প্রকাশ করেন তিনি।
লিল জন অ্যান্ড দ্য ইস্ট সাইড বয়েজের গান ‘গেট গ্লো’-এর একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। গানটি নতুন করে লেখেন তিনি এবং তার সঙ্গে গানটি গেয়েছেন সংগীতশিল্পী টিপেইন।
ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে নিজের ও প্রিসিলা চ্যানের তরুণ বয়সের ছবি জুড়ে দেন। পোস্টটিতে তিনি বলেন, ‘যখন আমি প্রথম প্রিসিলাকে কলেজ পার্টিতে দেখেছিলাম, তখন ‘গেট গ্লো’ গানটি বাজছিল। তাই প্রতি বছর ডেটিং অ্যানিভার্সরিতে আমরা এটা শুনি। এ বছর আমি টি-পেইনের এর সঙ্গে মিলে এই গানের আমাদের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছি।’
এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করেন টি-পেইন। তিনি বলেন, ‘শুভবার্ষিকী! আমাকে এর অংশ হতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’
প্রিসিলা চান মজা করে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো এত নিচুতে বসতে পারি না। তবে কখনোই এতটা ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা অনুভব করিনি। তোমাকে ভালোবাসি মার্ক জাকারবার্গ।’
পোস্টটিতে ছিল গানের লিরিক্সের একটি ছবি, একটি অ্যালবাম কভার। এই অ্যালবামের কভারে টি-পেইন এবং জাকারবার্গকে উভয়কেই অ্যাকোস্টিক গিটার ধরে থাকতে দেখা যায়। মিউজিক স্টুডিওতে তাদের একাধিক ছবি এবং সাইকেলে চড়ে থাকা একটি ছবিও রয়েছে।
জাকারবার্গ উল্লেখ করেন যে, তারা যেই ট্র্যাকটি রেকর্ড করেছেন, সেটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। স্পটিফাইতে গানটি ‘জি-পেইন’ নামে প্রকাশ করেছেন। গানের আয় করা অর্থ ‘সেভ দ্য মিউজিক’ ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়া হবে।
জাকারবার্গ তার ভাবমূর্তি পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন বলে অনেকেই মনে করছেন যা ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ সিনেমার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে টি-পেইনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব সম্পর্কে পোস্ট করেছেন। গত জুলাইয়ে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে টি-পেইন কাছ থেকে একটি গলার হার উপহার পাওয়ার কথা জানান জাকারবার্গ।
জাকারবার্গের সার্ফিং ভিডিও এবং তিনি তার স্ত্রীর একটি ভাস্কর্য তৈরি করার মতো কিছু অদ্ভুত মুহূর্তের সঙ্গে এই গানটি যুক্ত হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা তাকে ইলন মাস্কের তুলনায় আরও হালকা মেজাজের এবং রাজনীতি থেকে মুক্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস