ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার: শীষ হায়দার চৌধুরী

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
Image টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
news-banner
  ছবি: সংগৃহীত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেছেন,  ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার। ক্যাটাগরি-ভিত্তিক রিফর্ম-এর অংশ হিসেবে দেশের আইসিটি’র অপর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যোগ্যদেরকে সঠিক অবস্থানে নিযুক্ত করছে সরকার।

তিনি বলেন, কেবল অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, আমরা ডিজিটাল সেবা, উদ্ভাবন, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। বিটপ-সি প্রোগ্রামটি খুব বড় না হলেও বিপুল অবদান রাখবে।


বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার্স (বি-টপ সি) প্রোগ্রাম’ প্রকল্পপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব।

দেশের সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা উন্নয়নে (স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেইপ) মধ্যে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৯০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পর আরও সহস্রাধিক মধ্যমসারির সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার্স (বি-টপ সি) প্রোগ্রাম।

আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি (জাইকা) যৌথ উদ্যোগে ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। মাসব্যাপী এই ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম চলবে ৪২ মাস ধরে।

বেসিস-জাপান ডেস্ক চেয়ারম্যান এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি; জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবুল কাশেম মিয়া, জেট্রো বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি আন্দো ইউজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিইসি বিভাগের অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মু. তারেক প্রমুখ ।

জেট্রো কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আন্দো ইউজি জানান, টেকটক এর মাধ্যমে আইসিটি খাতের বাধা দূর করে বাংলাদেশ এখন জাইকার শীর্ষ অংশীদার।এই উদ্যোগের মাধ্যমে মিড-ক্যারিয়ারে থাকা ১ হাজারেরও বেশি আইসিটি পেশাজীবী প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও ২০০০ প্রকৌশলীকে জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের উপযোগী সুদক্ষ সফটওয়্যার প্রকৌশলী তৈরিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

অসাধারণ এই উদ্যোগের বিষয়ে জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর; আর এ উদ্যোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এই বি-টপসি প্রোগ্রাম। দেশের আইসিটি পেশাজীবীদের সক্ষম করে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন উদ্ভাবন ও শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নিত্যনতুন ক্ষেত্র তৈরি করবো।

আইসিটির বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে এই বি-টপসি প্রোগ্রাম।

অনুষ্ঠানে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্সে (এনআইআই) টপসি প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রফেসর ড. হোনিদেন শিনিচি’র ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
image

আপনার মতামত দিন