পোপ ফ্রান্সিস আর নেই, খবরটি প্রকাশ হতেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে কাথলিক মণ্ডলী। ২১ এপ্রিল, সোমবার দিনটি হয়ে ওঠে বিষাদের প্রতিচ্ছবি।
দেশ বিদেশ থেকে আসতে থাকে শোক বার্তা ও সমবেদনা। ভ্যাটিকান থেকে শুরু করে ভারত, বাংলাদেশ সহপৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষিত হয়।
একই সঙ্গে চলতে থাকে বিশ্বজুড়ে নানা প্রার্থনানুষ্ঠানের মাধ্যমে পোপের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন। গির্জায় গির্জায় প্রয়াত পোপের অমর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করছেন আপামর খ্রীষ্টভক্তগণ।
তেমনি ভ্যাটিকানে চলছে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে শেষ বারের মত পোপের মরদেহ দর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদনে হাজার হাজার মানুষের ঢল। দেশ বিদেশ থেকে ইতিমধ্যেই তীর্থযাত্রী ও খ্যাতনামা ব্যক্তিগত উপস্থিত হয়েছেন।
ফিলিপাইন ম্যানিলায় কাথলিক খ্রীষ্টমণ্ডলীর মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তথা অন্যতম সামাজিক গণমাধ্যম রেডিও ভেরিতাস এশিয়া প্রয়াত পোপের অমর আত্মার শান্তি কামনায় সম্মিলিত জপমালা প্রার্থনার আয়োজন করেছিল। আর ভি এ ম্যানিলার স্টাফ ,এডিটর, টেকনিশিয়ান ছাড়াও প্রতিবেশী খ্রীষ্টভক্তগণ এই জপমালা প্রার্থনায় সরাসরি যোগদান করেন।
একই সঙ্গে আর ভি এ সার্ভিসের অন্যান্য ভাষার প্রডিউসার ও কোঅর্ডিনেটর গণ জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ভাবে জপমালা প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন।
এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ম্যানিলার টাইম অনুসারে নিজেদের সময়ে মিলিত হয়ে স্থানীয় ভাষায় প্রার্থনা উচ্চারণ করেন এক আর ভি এ পরিবার হয়ে।
ফা. আনবু সেলভাম উদ্বোধনী প্রার্থনা দিয়ে জপমালা শুরু হয়।এরপর একে একে হিন্দি, কারিণ, বাংলা, উর্দু, যো, ভিয়েতনামিস, খামের, সিংহভাগ, তেলেগু, ম্যান্ডারিন, মং, তামিল প্রভৃতি ভাষায় নির্ধারিত প্রার্থনা স্থানীয় ভাষায় উচ্চারিত হয়।তার ই ফাঁকে ম্যানিলার স্টাফ অংশ নেন।
সত্যিই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার মানুষ জপমালা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এক বিরল দৃষ্টান্ত। সূত্র: আরভিএ।