অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন মিসেস কেরিনা মার্ডী এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার রঞ্জন পিউরিফিকেশন, সিএসসি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথি ও শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং অভিভাবকদের আসন গ্রহণ করানোর পর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। 

মডারেটর সকলকে স্বাগত জানান। সভাপতি দিনের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং দিন ব্যাপী আন্তঃ শ্রেণী বির্তক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সভাপতি বলেন, শুধু লেখাপড়া নয়, এর পাশাপাশি আরো অনেক কিছুর অনুশীলন করা আবশ্যক। যেমন- খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, বির্তক, হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি। এই সহশিক্ষা কার্যক্রম অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে ও আদর্শ ব্যক্তিত্ব গঠন করতে পারি। 

তিনি বিতার্কিকদের উদ্দেশে বলেন, বির্তক মানুষের সাহস বাড়ায়, দৃঢ় সংকল্পে তারা পথ চলে, যুক্তির মাধ্যমে তারা কথা বলতে পারে, যে কোন যুক্তি খন্ডন করতে পারে, তারা পরিবারে, সমাজে তথা দেশের যে কোন প্রয়োজনে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভয় পায় না। এজন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি অবশ্যই বির্তক অনুশীলন করা একজন শিক্ষার্থীর নৈতিক দায়িত্ব।

সকল ছাত্র-ছাত্রী ও বিতার্কিকদের উদ্দেশ্যে বিচারক হিসেবে মি. বিনয় দাস বলেন, বির্তক একটি সহশিক্ষা কার্যক্রম। বিষয়-বস্তুকে উপস্থাপনা, যুক্তি প্রদর্শন ও যুক্তি খন্ডন ও তথ্য উপাত্ত দিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হয়। সুন্দর ও গোছালো শব্দ চয়ন, উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, মার্জিত ব্যবহার দ্বারা বির্তক উপস্থাপন করলে বিষয়টি প্রাণবন্ত হয়। এছাড়াও তিনি বিতার্কিকদের কিছু কিছু বিষয়ে সংশোধন ও সচেতন করিয়ে দেন যেন আগামীতে আরো ভালো মানের বির্তক অনুষ্ঠান করতে পারে।

দশটি দলই পক্ষে বিপক্ষে থেকে তাদের উপস্থাপনা, যুক্তি প্রদর্শন ও যুক্তি খন্ডন, তথ্য উপাত্ত প্রদানের মাধ্যমে বিতর্ক প্রতিযোগিতাকে প্রাণবন্ত করে রাখে। প্রতি দলেই চ্যাম্পিয়ান ও রানারআপ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে এবং একজন করে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত করা হয়।

 পুরস্কার বিতরণ, জলযোগ ও সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 রিপোর্টার : ব্রাদার রঞ্জন পিউরিফিকেশন, সিএসসি