সবুজ পৃথিবীর দূত: পরিবেশ ইস্যুতে পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থান

প্রকাশ: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
'সবুজ পোপ’ পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন প্রকৃতির এক নিঃশব্দ অভিভাবক। ২০১৫ সালের ‘লাউদাতো সি’ বার্তায় তিনি বলেন, এই পৃথিবী আমাদের সকলের গৃহ, যার যত্ন না নিলে আমরাও নিরাপদ নই। তাঁর কণ্ঠে ছিল পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বনি।

 ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের এনসাইক্লিকাল লাউদাতো সি’ (“তোমার প্রশংসা হোক, আমার প্রভু”) তে তিনি আমাদের সাধারণ গৃহ- এই পৃথিবীর যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি তাঁর স্তব গীতে সেন্ট ফ্রান্সিস অব আসিসিকে উদ্ধৃত করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে আমাদের সাধারণ গৃহ আমাদের বোনের মতো, যার সঙ্গে আমরা জীবন ভাগ করে নেই এবং এক সুন্দরী মাতার মতো, যিনি আমাদের আলিঙ্গন করতে বাহু প্রসারিত করেন।

২০২৩ খ্রিস্টাব্দের জাতিসংঘ (UN) জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন বা COP28-এ, যা দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে অনুপস্থিত থাকায় রাষ্ট্রসচিব কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিনের মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান: ‘জীবনকে বেছে নিন, ভবিষ্যৎকে বেছে নিন!’

জাতিসংঘের এই সম্মেলনটি এমন এক বছরে অনুষ্ঠিত হয়, যখন বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা ও খরার ঘটনা ঘটেছিল।

তিনি বলেন, “এইজলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন যেন এক মোড় পরিবর্তনের উপলক্ষ হয়, যেখানে স্পষ্ট ও দৃশ্যমান রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রকাশ পায়, যা পরিবেশগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এক চূড়ান্ত গতি আনতে পারে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “শক্তি, দক্ষতা, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানির বিলোপ এবং টেকসই জীবনধারায় শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর, বাধ্যতামূলক এবং পর্যবেক্ষণযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।” 

পরিবেশ ধ্বংস করা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ, একটি পাপ, যা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং গঠনতান্ত্রিক ও এটি মানবজাতিকে বিশেষ করে আমাদের মাঝে থাকা সবচেয়ে দুর্বলদের চরম বিপদের মধ্যে ফেলছে এবং প্রজন্মের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।” - সম্মেলনে কার্ডিনাল প্যারোলিনের মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।

তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “আমরা কি জীবনের সংস্কৃতির পক্ষে কাজ করছি, নাকি মৃত্যুর সংস্কৃতির?”

“আমি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই: আসুন আমরা জীবনকে বেছে নেই। ভবিষ্যৎকে বেছে নেই। আমরা যেন এই পৃথিবীর আর্তনাদ শুনতে পাই, দরিদ্রের আবেদন বুঝতে পারি, তরুণদের আশা এবং শিশুদের স্বপ্নের প্রতি সংবেদনশীল হই। আমাদের এক গুরুতর দায়িত্ব আছে - নিশ্চিত করা যে তাদের ভবিষ্যৎ যেন কেড়ে নেওয়া না হয়।” সূত্র: আরভিএ।  
image

আপনার মতামত দিন