ছোটবেলায় যখন চিন্তা করতাম বড় হয়ে কী করবো, তখন তেমন কিছু মাথায় আসত না। যখন ভাল-মন্দ বুঝতে শুরু করলাম; তখন ইচ্ছে হত বাবা-নানা যেভাবে রাজনীতি করেন, আমিও বড় হয়ে তাদের মতো হব। মানুষের জন্য কিছু করব। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ, সততা ও সাহস আমার কিশোর মনে অনুপ্রেরণা যোগাত। আমাকে মুগ্ধ করতে। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখেছি বড় হয়ে রাজনীতি করব। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সে ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এখন আমি ছাত্ররাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত। এভাবে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কেননা আমার রক্তেই আছে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান।
শৈশবের স্বপ্নের কথাগুলো এভাবেই বর্ণনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিনামূল্যে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’-এর প্রধান উদ্যোক্তা সাদ বিন কাদের চৌধুরী।
সাদ বিন কাদের চৌধুরীর স্বপ্ন, স্বপ্নপূরণ এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে এই পর্যন্ত আসার পেছনে রয়েছে আরো নানান ঘটনা। ওই ঘটনার কিছু আছে তার জন্মেরও অনেক আগের। তাহলে কী সেই ঘটনা? চলুন জেনে নেয়া যাক।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সাদ বিন কাদের চৌধুরীর জন্ম। বাবা ব্যবসায়ী আর মা গৃহিণী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সাদ সবার ছোট। সবাই পেশাগতভাবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
কথায় কথায় জানা গেলো, পারিবারিক সূত্রেই সাদের রক্তে বইছে রাজনীতির ধারা। বাবা নুর কাদের চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী) ১৯৯৬ সালে পরশুরাম উপজেলার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৩ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ং সহ-সভাপতি হিসেবে টানা ৩বার দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। অন্যদিকে নানার পরিবারের সবাই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।
সাদ বিন কাদের বলেন, ১৯৭৩ সালে আমার নানা আমিনুল করিম মজুমদার খোকা মিয়া মহাকুমা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন। মহকুমা থেকে ফেনী জেলা হলে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৯৪ সালে যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুনেছি তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে আদর করে কোলে নিয়েছিলেন।
নিজ এলাকায় চান গাজী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পাস করেন সাদ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে এমফিল-এ ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয় হিসেবে নিতে চান, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন’।
ছাত্ররাজনীতিতে জড়ালেন কীভাবে? জবাবে সাদ জানান, আমার বাবা ব্যবসা করতেন। আমার তিন চাচাও ব্যবসায়ী। ছোটবেলায় খেয়াল করতাম পরিবারে মা-বাবা, চাচা, মামা-খালা, নানা মিলে যখন গল্প করতেন, তখন সবাই রাজনীতি নিয়ে কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন, তাঁর কাজ, নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন। এসব আলোচনা আমার কিশোর মনে দোলা দিত। এসএসসি পাস করার পর পরিবারের সবাই ঢাকায় চলে আসেন। আমি নটরডেম কলেজে ভর্তি হই। নটরডেম কলেজে ছাত্ররাজনীতির কোনো সুযোগ নেই। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে উঠি। ক্যাম্পাসে ঢুকেই ঢাবিতে যারা রাজনীতি করতেন তাদের সাথে মিশতাম, আড্ডা দিতাম। সিনিয়রদের কাছে রাজনীতি করার আগ্রহের কথা জানালে কার্যক্রমে যুক্ত হতে বলেন। এভাবে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির পথচলা। পরে আমাকে ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই দায়িত্ব খুব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি।
আন্তরিক ব্যবহার, দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা, সাংগঠনিক কাজের দক্ষতা ও নেতৃত্বের কৌশলের গুণে অল্পসময়ের মধ্যে সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তরুণ এই ছাত্রনেতা। ফলে তাকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে সাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্ররাজনীতির কোন ঘটনার কথা আপনার বেশি মনে পড়ে? সাদ বিন কাদেরের ভাষ্য, কলেজে পড়া অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর কথা শুনেছি। ঢাবি’র শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ডাকসুর নির্বাচন হলে আমি নির্বাচনের অংশগ্রহণ করি। আমি বিপুল ভোটে জয় লাভ করি। আমাকে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা।
২০১৯ সালে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন পলাতক খুনির প্রতিকী ফাঁসির কর্মসূচি হাতে নেন অদম্য এই ছাত্রনেতা। উদ্দেশ্য পাঁচজন খুনির প্রতিকী ফাঁসির মধ্য দিয়ে একটা মেসেজ দিতে চান যে, তাদের ফাঁসি হওয়া প্রয়োজন। পরে ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল পলাতক খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়।
ছাত্রনেতা হিসেবে এমন কোন কাজ করেছেন যার জন্য মানুষ আজীবন আপনাকে মনে রাখবে? সাদ বলেন, ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির শুরু থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দেন। নেত্রীর নির্দেশে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন। তার ধারাবাহিকতায় মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে চালু করি ‘বিনামূল্যে জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ যখন শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন, এদের মধ্যে অনেকের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তারা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না। মানুষের এমন বিপদে পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা শুরু করি জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা।
‘একটি নতুন ভোরের প্রতীক্ষা' এই স্লোগানকে নিয়ে আমরা সারাদেশে ধাপে ধাপে চালু করি বিনামূল্যে জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা। মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে ২৪ ঘন্টা ৭ দিন সেবা অব্যাহত রেখেছি। ছাত্রলীগের একদল আত্মনিবেদিত স্বেচ্ছাসেবক বন্ধুদের নিয়ে আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকা সাপেক্ষে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সেবাটি আমরা মানুষের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি এবং এখনও দিচ্ছি।
সাদ বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক সহযোগিতার পাশাপাশি এই মহতী উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষই সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেন। যারা আমার সাথে এই কার্যক্রমে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন, বিশেষ করে যাদের নাম না বললেই নয়, তারা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স (ঢাবির শিক্ষার্থী) এবং ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ।
কেউ যখন আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চাইতেন আপনারা কীভাবে সেটি গ্রহণ করতেন? জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই আর্থিক লেনদেনকে নিরুৎসাহিত করেছি। কখনও আর্থিক লেনদেন করিনি। কেউ টাকা দিতে চাইলে আমরা সেটি নেইনি, বলেছি পণ্য দিতে। যেমন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চাল, ডাল, চিনি, মসলা ইত্যাদি। এসব দিলে আমরা গ্রহণ করেছি, যাতে মানুষকে দিতে পারি। কেউ অক্সিজেন রিফিলে সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা রিফিল সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, স্বচ্ছতা কাজকে গতিশীল করে। তাই লেনদেনের বিষয়ে সচেতন ছিলাম। আমরা প্রতিমাসে একবার অক্সিজেন সেবার সামগ্রিক বিবরণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছি।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, রাজশাহীর মতো বিভাগীয় শহরে বিনামূল্যে জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা পৌঁছে দিয়েছি। এ ছাড়াও ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর জেলা শহরের মানুষও পেয়েছেন এ সেবা। এখন পর্যন্ত সেবা পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৮ জন রোগী।
সাদ বলেন, আমাদের টিমে ১৬০ জনের মত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। শুরুতে ১২টি সিলিন্ডার দিয়ে কার্যক্রম শুরু করি। বর্তমানে প্রায় ২১৩টি সিলিন্ডার রয়েছে। যে সব জেলা শহরে সরাসরি আমাদের সেবা ছিল না, সেখানে কুরিয়ার যোগে বা ওই জেলায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স গেলে সিলিন্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা সব সময় সারাদেশের করোনার খোঁজখবর রেখেছি। যেসব জেলায় সংক্রমণ বেশি ছিল সেসব জেলায় অক্সিজেন সেবা চালুর চেষ্টা করেছি। আর যেসব জেলায় সংক্রমণ কমে গেছে, সেসব জেলা থেকে বেশি সংক্রমিত জেলায় সেবা জোরদার করেছি।
মানবসেবায় যে অন্যরকম তৃপ্তি ও প্রশান্তি আসে, সেটা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এই ছাত্রনেতা। অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মহামারি করোনায় মৃত্যুর ভয়ে মানুষ যখন ঘরে বসে থাকতেন, তখন আমরা মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। এভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছি। পেয়েছি অসংখ্য মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছি অনাবিল প্রশান্তি। কেউ যখন ফোন করে বলতেন, আপনাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের উসিলায় আমার বাবা বা মা বেঁচে গেছেন, তখন যে কী আনন্দ অনুভব করতাম সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রীদের বাঁচানোর এই সংগ্রামে তাদের শুধু আনন্দের অভিজ্ঞতাই হয়নি, সাথে কিছু দুঃখ ও বেদনার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সাদ বলেন, রোগী সুস্থ হওয়ার পর চোখের সামনের যেমন আনন্দ করতে দেখেছি, ঠিক তেমনি অসংখ্য আর্তনাদকারীর সাক্ষীও হয়েছি। মানুষের প্রিয়জন হারানোর বেদনা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। অনেক সময় রোগীর চাপ এতো বেশি থাকতো যে, সবাইকে আমরা অক্সিজেন দিতে পারিনি। তখন দোকান থেকে ভাড়া নিয়ে, ভাড়ার মূল্য পরিশোধ করে সেবা দিয়েছি। আবার এমনও কিছু সময় ছিল যখন দোকানেও সিলিন্ডার ছিল না। তখন আমাদের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ওই রোগীদের অক্সিজেন সেবা দিতে পারিনি। চোখের সামনে রোগির মৃত্যু দেখেছি। তখন অনেক কষ্ট পেয়েছি।
মানুষের সেবা করতে গিয়ে পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আত্মপ্রত্যয়ী এ নেতার ভাষ্য, আমি নিজে সপরিবারে দুইবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছি এবং আমাদের টিমের ২৪ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরও আমরা সেবা চালিয়ে গেছি। কোনো ভয় কাজ করেনি। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা ছিল আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
ছাত্ররাজনীতির এই পথচলায় সংগঠনের সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের কাছ থেকে যে আন্তরিক সহযোগিতা, স্নেহ, ভালোবাসা ও মেন্টাল সাপোর্ট পেয়েছেন সেটা তার অন্যতম অর্জন বলে মনে করেন তরুণ এই ছাত্রনেতা। সিনিয়র নেতারা কোন না কোনভাবে বুঝতে পেরেছেন, যার মধ্যে এমন সততা আছে, তিনি কখনো রাজনীতির অপব্যবহার করবেন না। এটা বুঝে সবসময় তাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে থাকার জন্য সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও রাজনীতির শুরু থেকেই সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে ছায়াবৃক্ষ হয়ে আছেন বাবা ও মা। তার যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় পাশে থাকেন বন্ধুর মতো।
ক্রিকেট খেলতে ভীষণ পছন্দ করেন সাদ। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণধর্মী বই, রাজনীতির ইতিহাস ও রাজনীতির অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বদের বই পড়তে পছন্দ করেন তিনি। পড়ার নেশা থেকে দুটি বইও সম্পাদনা করেছেন । একটা ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ অন্যটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষক স্মরণে’।
রাজনীতির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে অদম্য এই ছাত্রনেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ মননে ধারণ করেছি। সেভাবেই একটু একটু করে নিজেকে প্রস্তুত করছি। এটা পেতে হবে, ওটা পেতে হবে এ ধরনের কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমার নেই। আমার ইচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগের একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। আর মানুষের পাশে থেকে আমৃত্যু কাজ করা। এতেই রয়েছে জীবনের পরম শান্তি।