কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ভেসে আসবে জুলাইয়ের অভ‍্যুত্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধনীতে অনুষ্ঠানমালার কিউআর কোড উন্মুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১ জুলাই (মঙ্গলবার) প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় কিউআর কোড উন্মোচনের সময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। 

কিউআর কোডটি স্ক্যান করলেই ভেসে আসছে জুলাই মাসের ৩৬ দিনের একটি ক্যালেন্ডার। ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা’ নামের এই ক্যালেন্ডারের তারিখর ওপর রয়েছে একটি লাল ডট। সেখানে স্পর্শ করতেই পঞ্জিকা অনুযায়ী দিনের কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে। 

অ্যাপটি ভিজিট করে দেখা গেছে, ৩৬ দিনের মধ্যে ২. ৩, ৪, ৬, ৮, ৯, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে কোনো অনুষ্ঠান নেই। শুরুতে শুধু কর্মসূচির তালিকা দেয়া হলেই শিগগিরই ছবি ও ভিডিও আপলোডিং ফিচার যুক্ত করা হবে- এমন একটি টীকা দেওয়া হয়েছে। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চার মিনিটের একটি জুলাই ট্রিবিউট ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইউনূস  বলেন, ‘আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির ঘোষণা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয়, বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল আমরা চাই এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক।

‘আমাদের এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য- জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি জানানো এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কারের এই সুযোগকে হারিয়ে না ফেলা,’ যোগ করেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচিকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচি’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের একটি প্রতিকী দিনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করব। এছাড়া, যে লক্ষ্যে আমাদের তরুণ ছাত্ররা, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিক ও কিশোররা শহীদ হয়েছিল, আহত হয়েছিল, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা নতুন করে শপথ নেবো। কোনো স্বৈরাচার যেন কোথাও মাথাচাড়া না দিতে পারে সেজন্য অনুষ্ঠানটি আমরা প্রতি বছর করব।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য শুধু স্মরণ নয়, বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সব শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আমরা চাই এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক। জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি জানানো এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কারের সুযোগ যেন হারিয়ে না যায়- এই লক্ষ্যেই আমাদের আয়োজন।

তার ভাষ্য, সামনে পথ অনেক কঠিন হলেও সম্ভাবনা বিশাল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। আসুন, এই জুলাই মাসকে পরিণত করি গণজাগরণের মাসে; ঐক্যের মাসে।

‘জুলাই অনুষ্ঠানমালা শুধু ভাবাবেগ নয়, এটা কোনো ক্ষোভ প্রকাশের জায়গাও নয়। বরং ১৬ বছর পর ঘোষিত বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে যে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, তার পেছনে ছিল একটি বড় স্বপ্ন-নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’- যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
 

image

আপনার মতামত দিন