২৬তম রোবট অলিম্পিয়াড বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলো আইসিটি বিভাগ

প্রকাশ: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
২০১৮ সালে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে রোবট অলেম্পিয়াডে ভালো করছে বাংলাদেশ। বিগত সাত বছরে ১৪টি স্বর্ণ পদক। এর মধ্যে এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে জিতেছে ১০টি পদক। এদের মধ্যে মোট ২টিসহ ৬টি স্বর্ণ পদক এসেছে মেয়েদের হাত ধরে।

রবিবার আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে এ দেরকেই সংবর্ধনা দিলো আইসিটি বিভাগ। বিজয়ীদের সঙ্গে তাদের কোচ মিশাল ইসলামকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিশ্বজয়ীদের মধ্যে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন আরিয়েত্রী ও আবরার আবীর।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এখন থেকে যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তাদের লজিস্টিক, কারিগরি সহযোগিতা, ট্রেনিং সহায়তায় আমরা নিয়মিত অংশ নেবো। আসন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকেও টেলিকম দিবসের প্রতিপাদ্যেও গত এক বছরে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদেরকে বিভিন্ন সহায়তা করবো।

তিনি বলেন, যদি আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারি, তবে তারা যে আইডিয়া নিয়ে ঘুরছেন তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করে দিতে পারি। আমরা মনে করি, এই বিপ্লবের অর্জন সফল হবে যখন আমরা আমাদের প্রজন্মের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান এবং দেশে একটি সত্যি কারের অর্থে ইকো সিস্টেম তৈরি করে দিতে পারবো। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে সৃজনশীলতা রয়েছে তা বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। যেহেতু স্টার্টআপের বেশিরভাগই প্রযুক্তি নির্ভর, এখানে প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আইসিটি ও টেলিকমের পক্ষ থেকে তাদের ফান্ডিংসহ কারিগরি ও অন্যান্য যোগাযোগ স্থাপন করবো। আচিরেই দেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভেশন করবো। এরপর বিভন্ন স্কুলে ও কলেজকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে স্টার্টআপ সামিট করবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং এটুআই প্রকল্প পরিচালক ও বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া।

বক্তব্যে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তি যতই দ্রুত ছুটুক না কেন আমাদের ক্ষুদে বিজয়ীরা বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা আজ আত্ম বিশ্বাসী। তাই আগামী আসরে তাদেরকে উদার হস্তে সহযোগিতা করবে আইসিটি বিভাগ। এই খাতে বাজেট কর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ আনোয়ার উদ্দীন জানান, রোবটিক সরঞ্জাম ও রোবটিক ল্যাবদ স্বল্পতায় ছয়টি আসরে যোগ দিতে পারেনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এজন্য একটি রোবটিক গবেষণা সেন্টার স্থাপন করবে। আগামীতেও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সহায়তা করবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের পরিচালক মু. খায়রুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিডিআরও সভপতি লাফিফা জামাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যন্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের প্রধান সেঁজুতি রহমান।

প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট বসবে ২৭তম আসর। আর গত ২১ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে বুসান এক্সিবিশন এন্ড কনভেনশন সেন্টারে (বেক্সকো)  অনুষ্ঠিত হয় ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড। এতে ২টি স্বর্ণপদকসহ মোট ১০টি পদক অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে ২টি স্বর্ণপদক, ৪টি রৌপ্যপদক ও ৪টি ব্রোঞ্জপদক। রোবটিক্সের আন্তর্জাতিক এই উৎসবে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের দল অংশ নেয়। ২৬টি দেশের প্রতিযোগী এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে  ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি জুনিয়র গ্রুপে আনাড়ি দলের আরিয়েত্তি ইসলাম ও ক্রিয়েটিভ মুভি ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে সিরিয়াসলি ক্লুলেস দলের সদস্য নামিয়া রওজাত নুবালা।

পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় রৌপ্যপদক অর্জন করেছে ফিজিক্যাল কম্পিউটিং জুনিয়র গ্রুপে আনাড়ি দলের আরিয়েত্তি ইসলাম, ক্রিয়েটিভ মুভি ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য নুসাইবা তাজরিন তানিশা ও টিম শিফু দলের সদস্য প্রিয়ন্তী দাস এবং ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে স্যাফ.এআই দলের ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী হাসিন ইশরাক চৌধুরী তাহা, এ জেড এম ইমতেনান কবির ও আবরার আবির।

আপনার মতামত দিন