সাইবার সুরক্ষা মাস উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাইবার বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস)।
শুক্রবার সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক দল নিয়ে রাজধানীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন ও এবং স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরামের যৌথ আয়োজনে তথ্যের সুরক্ষার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রাধান্য নিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সংসদীয় বিতর্কে চূড়ান্ত পর্বে বিরোধী দলের ছিলো জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিকে (জেইউডিও) ৭-০ ব্যালটে বিজিত করে ডিইউডিএস অপরাজেয় বাংলা।
অপরাজেয় বাংলার হয়ে বিতর্ক করেছেন আদনান মুস্তারি, সোহানুর রহমান সোহান, সাব্বির হোসাইন। ডিবেটির অফ দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হয়েছেন সাব্বির হোসাইন।
বিতর্কে সরকারি দলের সদস্যরা যুক্তি দিয়ে দেখান, ভাইরাসের প্যাটার্ন মিলিয়ে গ্রাম্যাটিক্যাল রুল দিয়ে নতুন ভাইরাসকে আটকাতে ব্যর্থ। এ কারণেই ৫০০টি ভাইরাসের জন্য মানুষ বসে বসে ৫০০টি রুলস সেট আপ করে। এই সেটাপের জন্য আউট অব দ্য বক্স ভাইরাস আসলে তা আটকাতে পারে না। এখানেই আমাদের অ্যাডাপশন করতে হয়। কিন্তু এআই এই রুলসের বাইরে গিয়ে প্যাটার্ন মিলিয়ে নিরাপত্তা দেয়। সিকিউরিটি দেয়ার ক্ষেত্রে স্কৃপ্টিংয়ের অনুমতি দিতে বিভিন্ন ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা হয়। এটা সিস্টেমকে এক্সপ্লয়েট না করার জন্য এই ওয়ালটা মাঝখানে রাখা হয়। কনভেনশনাল ফায়ারওয়াল কমন কোড বা প্যাটার্ন ফলো করে। কিন্তু এআই ফায়ারওয়াল ডাটার সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে জিপিটি ব্যবহার করে। সে কোটি কোটি ডাটা বিশ্লেষণ করে প্রতিদিন একটি প্যাটার্ন খুঁজে বের করে। পরিচিত প্যাটার্ন থেকে সংকেত দেয়। থ্রেসার সেট করে সে নিরাপত্তা দেয়া যায়। মানুষের ক্ষতিও এআই দিয়ে ফেস ডিটেকশন ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ফায়ারওয়াল শক্তিশালী করতে এআই লাগবে।
যুক্তিখন্ডনে বিশ্বের প্রতিটি বিষয় হ্যাকেবল বলে সমালোচনা করে বিরোধী দল। এক্ষেত্রে এনক্রিপ্টেড প্রযুক্তি নিয়মিত হালনাগাদ করে সাইবার সুরক্ষা করা যায় বলে যুক্তি দেন বিরোধী দলের নেতারা। তারা বলেন, কোন জায়গায় হ্যাক হবে আর কোন জায়গায় হবে না এটা বিতর্কের বিষয় নয়। আমাদের সুরক্ষার মানে নজর দিতে হবে। সিকিউরিটি ফায়ারওয়াল দেয়, এআই দেয় না।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ সাইফুল্লাহ আল জাকেরিন, রবিউল ইসলাম রনি, প্রাণ সারওয়ার, মাহফুজ মিরাজ, দিনা আফসানা, মো. খাসরু আহসান, নাঈম ফরহাদ ইসলাম, এইচ এম সাবির নূর, এহসানুর রহমান আবির, রাইসুল হক চৌধুরী, মো. রায়হানুল ইকবাল ইভান, মেসবাহুল মুনীর স্নিগ্ধ, অর্ঘ্য অর্পন দাশ, মো. সাইফ উদ্দিন, নাঈম মুন্তাজির, মিরাজুল ইসলাম, তৌকির হাসান খান, রাকিব জোহা, সামিরুল হক, আঞ্জুমান আফরীন এবং খন্দকার মহিউদ্দিন।