‘‘ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জন্য দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো অবকাঠামো ভাগাভাগি বা ইনফাসট্রাক্চার শেয়ারিং। সেই লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের মধ্যে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো বিনিময়ে খসড়া গাইডলাইন তৈরি করেছে বিটিআরসি। গাইডলাইনটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে রাস্তায় তারের জঞ্জাল কমাবে এবং শৃঙ্খলা ফেরাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গাইডলাইনে র্যান শেয়ারিং দেওয়া হলেও অ্যাক্টিভ শেয়ারিং, এমওসিএএন (MOCAN) শেয়ারিং প্রত্যাশা করছে মোবাইল অপারেটররা। মঙ্গলবার গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সিইও ও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারীর (অব.) সঙ্গে বৈঠকে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন। অপরদিকে খসড়া টেলিকমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনে প্রস্তাবিত কিছু নির্দেশনা এনটিটিএন গাইডলাইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি দুই ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরেরা।’’ এসব বিষয় আমলে নিয়েই সব পক্ষেরে মতের প্রতিফলন ঘটিয়ে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের মধ্যে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো বিনিময়ে নতুন গাইডলাইন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
খসড়াটি চূড়ান্ত করার আগে গাইডলাইনটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাধারণ জনগণের মতামত আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত খসড়া নীতিমালার বিষয়ে মতামত দেওয়া যাবে।
এই সময়ের
খসড়া গাইডলাইনের বিদ্যমান অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে প্রস্তাবিত বিষয়টি অনুচ্ছেদ আকারে উল্লেখ করতে একটি ছকও করে দেওয়া হয়েছে।
ছক অনুযায়ী গাইডলাইনের ওপর মতামত দিয়ে তা ই-মেইলে পাঠাতে হবে। ইমেইল পাঠানোর ঠিকানা-sorwar@btrc.gov.bd এবং mehadi@btrc.gov.bd।
খসড়া টেলিকমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনটিতে একক ব্যবহারের পরিবর্তে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর ডুপলিকেশন ও জঞ্জাল রোধ এবং অবকাঠামো নির্মাণের ব্যবহৃত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরদের একাধিপত্য খর্ব করবে বলে ধারণা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গাইডলাইন করে বিটিআরসি।