হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মেসেজ ভুল করে ডিলিট হয়ে গেলে অনেকেই ভাবেন যে এটি আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। তবে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে ডিলিট হওয়া মেসেজ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
বিশেষ করে, ব্যাকআপ রাখা থাকলে কিংবা কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপ বা ফিচারের মাধ্যমে এটি ফিরে পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই, কীভাবে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া মেসেজ পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
১. হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ থেকে পুনরুদ্ধার
হোয়াটসঅ্যাপে অটোমেটিক ব্যাকআপ সুবিধা রয়েছে, যা গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউডে সংরক্ষিত থাকে। যদি আপনি ব্যাকআপ চালু করে রাখেন, তবে সহজেই মুছে ফেলা চ্যাট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
পদ্ধতি:
প্রথমে আপনার ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করুন।
পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করে নিজের নম্বর দিয়ে লগইন করুন।
লগইন করার পর হোয়াটসঅ্যাপ আপনাকে পুরোনো ব্যাকআপ থেকে চ্যাট রিস্টোর করার অপশন দেবে।
‘Restore’ অপশনে ক্লিক করলেই ব্যাকআপে থাকা সমস্ত মেসেজ পুনরুদ্ধার হবে।
শর্ত:
ব্যাকআপ নেওয়া থাকলে তবেই এই পদ্ধতি কাজ করবে।
নতুন ব্যাকআপ নেওয়ার আগে যদি মেসেজ ডিলিট করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি ফেরত পাওয়া সম্ভব হবে না।
২. নোটিফিকেশন হিস্টোরি ফিচারের মাধ্যমে মেসেজ রিকভার
কিছু স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন হিস্টোরি অপশন থাকে, যা ব্যবহার করে ডিলিট হওয়া মেসেজ দেখা সম্ভব।
পদ্ধতি:
ফোনের Settings > Notifications > Notification history অপশনে যান।
যদি এটি চালু থাকে, তাহলে আপনি মুছে ফেলা মেসেজের কনটেন্ট দেখতে পারবেন।
শর্ত:
এটি শুধুমাত্র তখনই কাজ করবে, যদি নোটিফিকেশন হিস্টোরি আগে থেকেই চালু থাকে।
শুধুমাত্র যেসব মেসেজের জন্য নোটিফিকেশন এসেছে, সেগুলো দেখা যাবে।
৩. থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে মেসেজ উদ্ধার
বাজারে কিছু থার্ড-পার্টি অ্যাপ রয়েছে, যা নোটিফিকেশন লগ ব্যবহার করে মুছে ফেলা মেসেজ দেখতে সাহায্য করে।
জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ:
Notisave
WhatsRemoved+
পদ্ধতি:
এই অ্যাপগুলো ফোনে ইনস্টল করলে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিফিকেশন সংরক্ষণ করে রাখে।
কোনো মেসেজ ডিলিট হলে, অ্যাপের মাধ্যমে সেটি দেখা সম্ভব।
শর্ত:
এগুলো ব্যবহারে গোপনীয়তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে, কারণ থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলো আপনার মেসেজ সংরক্ষণ করতে পারে।
এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের আগে প্লেস্টোরের রিভিউ দেখে নেওয়া ভালো।
হোয়াটসঅ্যাপে মুছে ফেলা মেসেজ পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তবে ব্যাকআপ রাখা সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর সমাধান। এছাড়া নোটিফিকেশন হিস্টোরি ও থার্ড-পার্টি অ্যাপও কিছুটা সহায়ক হতে পারে। তাই, ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট হারানোর আশঙ্কা এড়াতে নিয়মিত ব্যাকআপ চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।