পৃথিবীর নানা দেশ ও শহর কখনো হয়ে ওঠে নিরাপদ, কখনো ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন কিছু বিষয়ের নিরিখে তালিকা প্রকাশ করেছে নিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলোর।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা এই সাত বিষয়কে আমলে নিয়ে নিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বস। মোট ৬০টি শহরকে এই গবেষণায় রেখেছে ফোর্বসের পরামর্শক দল। চলুন জেনে নিই কোন পাঁচটি শহর রয়েছে ফোর্বসের নিরাপদ তালিকার শীর্ষে।
১. সিঙ্গাপুর
ভালো ব্যাপার হলো, সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় প্রথম দুটি নামই এশিয়ান। এই গবেষণা প্রতিবেদন দেখাচ্ছে, সিঙ্গাপুর তাদের কঠোর আইন আর কম অপরাধের হারের কারণে নিরাপত্তার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেছে। পাশাপাশি দ্বীপটির অবস্থানের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি একেবারেই কম। উন্নত ও নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোও ধনাত্মক নম্বর যোগ করেছে। আবার ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুঁকির হারও কম। এর মানে, এ দেশের নাগরিকেরা মুক্তভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে সাইবার হামলা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। উপরন্তু সব রিস্ক লেভেলে ১০০-তে শূন্য পেয়ে নিরাপদ শহরের শীর্ষে আছে দেশটি।
২. টোকিও
সিঙ্গাপুরের পরেই এশিয়ার আরেকটি শহর। নাগরিকদের নিরাপত্তা, উন্নত ও পর্যাপ্ত অবকাঠামো আর অপরাধের নিম্ন হার জাপানের এই শহরকে করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় নিরাপদ শহর। ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক দিয়েও এই শহর অতুলনীয়। ঘনবসতিপূর্ণ হলেও কীভাবে নিজেদের সুন্দর ও নিরাপদ রাখা যায়, তারই রোল মডেল যেন টোকিও।
৩. টরন্টো
বিশ্বের অন্যতম প্রধান বহু সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র কানাডার শহরটি উচ্চশিক্ষার জন্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। জনগণের নিরাপত্তা বা বসবাসযোগ্যতা ও উচ্চমানসম্পন্ন অবকাঠামো একে নিরাপদ শহরের শীর্ষে উঠে আসতে সাহায্য করেছে।
৪. সিডনি
সিডনি আছে ফোর্বসের এই তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করে। ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক থেকে শহরটি সবার শীর্ষে। শুধু অনলাইন নিরাপত্তা নয়, নাগরিকদের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে সব সেবাই সহজলভ্য অস্ট্রেলিয়ার এই শহরে।
৫. জুরিখ
পৃথিবীর রানি সুইজারল্যান্ড। শুধু সৌন্দর্য নয়, সুইজারল্যান্ডের এই শহর এগিয়ে রয়েছে সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের হারও নিম্নমুখী জুরিখে। তা ছাড়া কঠোর আইনকানুন থাকায় অপরাধ সংঘটনের হারও কম। পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও জুরিখের জুড়ি মেলা ভার। সূত্র: হাল ফ্যাশন ও ফোর্বস
লেখক: কানিজ ফাতেমা